পদার্থবিজ্ঞানের পাঠশালায় স্বাগতম ...

শুরুর কথা


জানোতো? পদার্থবিজ্ঞান খুবই মজার একটা সাবজেক্ট। এই পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র-টুত্র ব্যবহার করে মানুষ বিশ্বকে চিনতে শিখেছে, মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছে, চাঁদ থেকে ঘুরে এসেছে। এই পদার্থবিজ্ঞানকে সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য বাংলায় পদার্থবিজ্ঞানের এই ওয়েবসাইট- Physicspedia ।

আচ্ছা, তাই?

কিন্তু আমরা পদার্থবিজ্ঞান কেন পড়বো?

এইযে আকাশে পাখি আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে অথবা নদী-নালা, খালে-বিলে ছোট বড় মাছগুলো গুডুগুডু করে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে, সেটা দেখে বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করলো, পাখি কিভাবে উড়ে? মাছই বা পানির নিচে কিভাবে সাঁতার কাটে? এগুলি কি ম্যাজিক? ভাবতে ভাবতে একসময়ে তারা আবিস্কার করলো এটা আসলে ম্যাজিক নয়। একে বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। তারপর পাখি উড়ার সেই ব্যাখ্যা কাজে লাগিয়ে মানুষ একটা প্লেন বানিয়ে ফেললো আর পানির নিচে মাছের সাঁতার কাটার ব্যাখ্যাকে কাজে লাগিয়ে বানিয়ে ফেললো সাবমেরিন।

এখন আমরাও পাখিদের সাথে আকাশে উড়ে বেড়াতে পারি, পানির নিচ দিয়ে একজায়গা থেকে অন্যজায়গায় চলে যেতে পারি। তোমাদের চারপাশে প্রতিদিন যা যা ঘটতে দেখছো, তার সবকিছুই বিজ্ঞানের সাহায্যে খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করা যায়। আর Physicspedia'র মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে তোমাদের আসেপাশে যা কিছু ঘটছে সেগুলি কিভাবে পদার্থবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় সেটি শেখানো।

আমাদের সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ বৃহস্পতি হতে শুরু করে একটি পরমানুর কেন্দ্রে কি কি ঘটছে সেগুলি ব্যাখ্যা করার জন্য দেশ-বিদেশের বাঘা বাঘা পদার্থবিজ্ঞানীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা চাই, একদিন তোমরাও যেন ওই সব বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীদের মত বিশাল বিশাল আবিস্কার করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিতে পারো। আর তারপর যদি কেউ দুষ্টুমি করে সবাইকে বোঝাতে চায়, এগুলি 'ম্যাজিক', তাহলে তাদের খুব করে বকে দিতে পারো। এটুকুই আমাদের প্রত্যাশা।

চলো তবে শুরু করা যাক!

বিষয়সমূহ

গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান

পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যা সমাধান করার জন্য অংকে ভালোমতন দক্ষতা থাকা দরকার। এজন্য পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যা সমাধান করতে প্রয়োজন হয় এরকম বিষয়গুলি নিয়ে গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান অধ্যায়টি সাজানো হয়েছে।

গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের পরিচ্ছেদ সমূহ  

ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স

আইজাক নিউটনের কথা শুনেছো? ঐযে লোকটা আপেল কেন মাটিতে পড়ে ভাবতে গিয়ে মহাকর্ষের সূত্র আবিস্কার করে ফেলেছিলো? মূলতঃ নিউটনের সেইসব তত্ত্ব নিয়েই ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স গড়ে উঠেছে।

ক্লাসিক্যাল মেকানিক্সের পরিচ্ছেদ সমূহ  

কোয়ান্টাম মেকানিক্স

বিংশ শতাব্দির শুরুর দিকে বিজ্ঞানীরা খেয়াল করলেন যে, খুব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার ক্ষেত্রে নিউটনের সূত্রগুলি আর কাজ করছে না। সেই সময়ে জন্ম নিলো পদার্থবিজ্ঞানের নতুন এক শাখার। আর সেটিই হলো কোয়ান্টাম মেকানিক্স।

কোয়ান্টাম মেকানিক্সের পরিচ্ছেদ সমূহ  

বিদ্যুৎ ও চুম্বক তত্ত্ব

এই যে তুমি টুক করে একটা সুইচ চেপে লাইট জ্বালিয়ে দিলে; অথবা মোবাইলে ফোন করে অনেক অনেক দূরে থাকা বন্ধুর সাথে কথা বলা শুরু করলে, এগুলি কিভাবে ঘটে শিখতে চাও? তাহলে তোমাকে বিদ্যুৎ ও চুম্বক তত্ত্ব জানতে হবে।

বিদ্যুৎ ও চুম্বক তত্ত্বের পরিচ্ছেদ সমূহ  

তাপগতিবিদ্যা

প্রচণ্ড গরমে অথবা হাড় কাঁপুনি ঠাণ্ডায় পদার্থের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো কিভাবে আচরণ করে আর সেগুলো ব্যাবহার করে কিভাবে ইঞ্জিনিয়াররা নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে সেটা জানতে হলে শিখতে হবে তাপগতিবিদ্যা অধ্যায়টি।

তাপগতিবিদ্যা  

পরিশিষ্ট

অমুক ধ্রুবকের মানটা কত, তমুক সমীকরণটার প্রমাণ ইত্যাদি এক নজরে খুজে পেতে এই পরিশিষ্ট অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে।

পরিশিষ্ট